ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৬ বার
ঢাকার বায়ু দূষণ বন্ধে উচ্চ আদালতের দেওয়া ৯ দফা নির্দেশনা ৩ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি উর্মি রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী মো. শাহজাহান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী খসরুজ্জামান এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরশিদ আক্তার।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আগে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করায় গত বছর ঢাকায় বায়ুর মান উন্নীত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিবাদীপক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ঢাকার বায়ু দূষিত হয়েছে। ফলে বায়ুর মধ্যে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টের তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং ঢাকায় বসবাসরত মানুষের জীবন রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে বিবাদীদের উপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।
শুনানি শেষে আদালত আদেশ দিয়ে ৯ দফা নির্দেশনা আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকার বায়ু দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে রিট করলে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকৃত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তায় পানি ছিটানো, রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা। এছাড়া কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে ওই গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা, পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সব টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা, মার্কেট/দোকানগুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা এবং অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।