ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫ বার


হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার এবং দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
আজ সকাল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। 
তারা হলেন- মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম।

 

এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হন। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি পোস্ট করা হয়।

একই সঙ্গে তিনি উসকানিমূলক পোস্টও দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন। ওই টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনা হয়, যা ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার একাধিক থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


   আরও সংবাদ