ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৬ বার
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে তাদের কিছু ছবি, পরিচয় গোয়েন্দা সংস্থা এরই মধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছে৷ একই সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে একই রাতে হামলা। এখানে কী গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা সরাসরি এভাবে আমার বলাটা উচিত নয়।
তিনি বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি তাদের কিছু ছবি তাদের কিছু পরিচয় আমরা এরই মধ্যে শনাক্ত করেছি। তাদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি।
যেহেতু আপনি উপদেষ্টা পরিষদে আছেন এবং জিনিসগুলো আলোচনা করছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তাছাড়া একসঙ্গে কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা হবে, এটা আগেভাগে তো জানা মুশকিল।
যেমন কালকে আমার কাছে একটা রিপোর্ট আসলো গোয়েন্দা থেকে কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের পাশে যখন হাদিকে দাফন করা হবে পাশে চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে। আমরা মুহূর্তের ভিতরে জানিয়ে দিয়েছি গোয়েন্দাদেরকে রিপোর্ট আছে। আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে ওখানে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ছায়ানটে হামলা হয়েছে।
শিবিরের কেউ কেউ বলেছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত না। তারা একটু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। এ ধরনের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মেসেজগুলো আসে, আপনারা সত্যি কন্ট্রোল করতে পারছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না কে কি বলল সেটা তো আমাদের এখতিয়ার নয়। তবে কথা হচ্ছে যে আমরা যেহেতু সরকারে আছি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চলমান গভমেন্ট এপ্রুভড এরকম কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে অথবা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবে এটা কোনোদিন আমাদের কাছে কাম্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি এবং এদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখন সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। কিছু ঘটনা যে ঘটছে না এমন নয়, তবে আমরা যতটুকু এ পর্যন্ত এসেছি আমরা আশাবাদী নির্বাচন যথাসময়ে হবে সুষ্ঠু অবাধ ইনক্লুসিভ এবং স্বতঃস্ফূর্ততার মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করতে পারবো। এ পরিবেশ এখনো বহাল আছে।