ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

জনগণ বুক পেতে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:১২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১২ বার


জনগণ বুক পেতে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

বিএনপি মনোনীত ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ তারিখ বাংলাদেশে আসবেন। ওইদিন তাকে কোটি মানুষ গণসংবর্ধনায় বরণ করে নেবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইনশা আল্লাহ জনগণ বুক পেতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

এমন কোনো শক্তি নেই কোটি কোটি মানুষের বুক ভেদ করে তার ক্ষতি করে।

 

রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগ জিয়া মাঠের পাশে নাজমা টাওয়ারে ওয়ারী থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ইশরাক বলেন, নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মোট ভোটারের প্রায় ৫২ শতাংশ নারী।

তাই নারীরা ভোটাধিকার চর্চায় এগিয়ে এলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আসবে।

 

বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের জন্য বিশেষ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

ইশরাক হোসেন আরও বলেন, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির আওতায় নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে। যা পরিবারের গৃহিণীর নামে ইস্যু করা হবে।

এতে নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষমতায়িত হবে।

 

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশ পরিচালনা করবে। ভোট কারচুপি রোধে দলীয়ভাবে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিশেষভাবে নারী ভোটকেন্দ্রে শুধু নারী পোলিং এজেন্ট নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন।

ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বিগত ১৭ বছরে দেশে ভোটের অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে।

দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়, বরং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

 

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লুটপাট ও পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ আবার অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। 

ইশরাক বলেন, হাদিকে কেন আজ হত্যার শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে? তার কারণ ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী ভূমিকায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। এই অবস্থানটি অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেনি, বরং অনেকের কাছে মনে হয়েছে আগামী দিনে তিনি হয়তো একটি বড় হুমকিতে পরিণত হতে পারেন। সেই কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হাদিরা কখনো মরে না। হাদির একটি বক্তব্যে তিনি বলেছেন-তার রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, এবং সেই আদর্শ অনুসরণ করেই তিনি তার রাজনীতি পরিচালনার চেষ্টা করেছেন। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন একজন মানুষ। তার কোনো দুর্নাম ছিল না, কোনো বিতর্কিত বিষয়ও ছিল না। 

হাদিকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনীতিতে শেষ পেরেক ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ারী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ আরিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুকীতুল আহসান রন্জু, ওয়ারী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম,  ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল লিটন, ওয়ারী থানা মহিলা দলের সভানেত্রী সোনিয়া মাওলাসহ নেতাকর্মীরা।


   আরও সংবাদ