ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সমাধান ছাড়াই উপদেষ্টার বৈঠক শেষ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট, ২০২৫ ২২:৩৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৯ বার


সমাধান ছাড়াই উপদেষ্টার বৈঠক শেষ

কোনো সমাধান ছাড়াই আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার বৈঠক শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈঠক হবে অংশীজন শিক্ষক এবং অন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে।

 

বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর রেলভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই উপদেষ্টার এ বৈঠক শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষ হয় কোনো সমাধান ছাড়াই।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ফাওজুল কবির জানান, সমস্যা সমাধানে সাত সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে মিটিংয়ে তাদের পাঁচজন অনুপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল পুরো কমিটি আবারও বৈঠকে বসবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈঠক হবে অংশীজন শিক্ষক এবং অন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে।

কথায় কথায় যমুনা অভিমুখে যাত্রা অনভিপ্রেত মন্তব্য করে ফাওজুল কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত।
এ ব্যাপারে ক্ষমা চাইবেন পুলিশের প্রতিনিধি।

এদিকে বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা জানান, সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে আন্দোলনরত সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ৫ দফা হলো
১. প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে।
৩. অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটি সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এ মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা : মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে আজ এসে এর নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
৪. হামলায় আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালীন সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
৫. শিক্ষার্থী রোকনের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।  শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।


   আরও সংবাদ