ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

একাত্তরের গণহত্যার বিচার ও স্বীকৃতি প্রয়োজন

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪ বার


একাত্তরের গণহত্যার বিচার ও স্বীকৃতি প্রয়োজন

মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে গ্লোবাল সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স (GCDG)-এর উদ্যোগে “ফিরে দেখা বিজয় ’৭১” শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি ১৪ ডিসেম্বর (রবিবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

দেশ ও বিদেশ থেকে বিশিষ্ট আলোচকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন অনুষ্ঠানটিতে। আলোচনার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের অংশবিশেষ প্রচার করা হয়। এরপর বক্তব্য দেন নিউজিল্যান্ড থেকে যুক্ত হওয়া ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান অনু। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, প্রস্তুতি এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অকল্যান্ড থেকে যুক্ত হয়ে প্রফেসর ড. শ্যামল দাস মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা তুলে ধরেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি তুলে ধরেন সাবেক সংসদ সদস্য ও GCDG-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত। তিনি এসব অপরাধের অসমাপ্ত বিচারের বিষয়টি দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শনের পর মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন প্রফেসর ড. এম এ রশিদ। নিউজিল্যান্ড থেকে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর জামায়াত ও জঙ্গি সমর্থিত ইউনূস সরকার একই কায়দায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করছে।

এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল গঠনের তাৎপর্য ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনিরুল ইসলাম। তিনি কানাডার টরন্টো থেকে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে বাকশাল নিয়ে আরও গবেষণা করবে এবং এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমালোচনার জবাব দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আলোচনায় অংশ নেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরিফা রহমান রুমা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তানি শাসকরা যেভাবে বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল, ৫ আগস্টের পর একইভাবে বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় ধারাবাহিক আঘাত করা হচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ওপর হামলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।

সবশেষে বাংলাদেশ থেকে আলোচনায় যুক্ত হন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রী রোকেয়া প্রাচী। মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ ও বীরত্ব গাঁথা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীরা সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে যেভাবে ভূমিকা রেখেছে বর্তমান সময়েও সেভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের অপেক্ষায় প্রস্তুত বাংলাদেশের নারী সমাজ। একাত্তরের মত স্বাধীন বাংলাদেশে নারী সমাজ একই ধরনের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর আশু পরিত্রাণ জরুরি। অবৈধ জঙ্গি সমর্থক ইউনূস সরকারকে অনতিবিলম্বে বিদায় করতে না পারলে নারী সমাজের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলতেই থাকবে।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনা অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও সঞ্চালনা করেন GCDG-এর ডিরেক্টর ডা. কাজী মাসুদ। অনুষ্ঠানটি GCDG-এর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়

--

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

অনুষ্ঠানে ভিডিও লিঙ্ক: https://www.facebook.com/61574841993763/videos/1786023492114876


   আরও সংবাদ