ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২ বার


নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত

উত্তরের জেলা নীলফামারীতে জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র ঠান্ডার কারণে পথঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও অসহায় মানুষরা। এখনো সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।

 

বিশেষ করে নীলফামারীর চরাঞ্চল ও নদীবিধৌত এলাকার মানুষজন শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন। হঠাৎ করে জেলায় শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু ও পশুপাখিরাও ঠান্ডার কবলে পড়ে কষ্ট পাচ্ছে। অনেক গরিব ও অভাবী মানুষ পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে ছুটলেও এ বছর দাম বেশি হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী কিনতে পারছেন না।

গবাদিপশুর কষ্ট লাঘবে কেউ কেউ গরুর গায়ে চটের বস্তা জড়িয়েছেন, ছাগলের গায়ে পরানো হয়েছে পুরোনো সোয়েটার।

শীত নিবারণের জন্য অনেকেই সকালে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছেন। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে অনেক কর্মজীবী মানুষ কাজে যেতে পারছেন না।

 

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, পৌষের ৬ তারিখে হঠাৎ করেই শীতের মাত্রা বেড়েছে। আজ সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। শীতকালীন আবহাওয়ার কারণে বিমানের সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

 

কনকনে ঠান্ডায় হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনের বেলায় সূর্যের তেমন উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে ছিন্নমূল ও দিনমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষগুলো কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

 

এদিকে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।


   আরও সংবাদ