স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১ বার
খরুচে শুরু হলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচের চিত্র বদলে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইএল টি-টোয়েন্টিতে রোববার গাল্ফ জায়ান্টসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে দুবাই ক্যাপিটালসের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে গাল্ফ জায়ান্টস। ১৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১১০ রান তুলে তারা ভালো অবস্থানে ছিল।
ঠিক তখনই আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। এক ওভারেই তুলে নেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
মোস্তাফিজ ৩.৫ ওভার বোলিং করে ৩৪ রানে নেন ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত গাল্ফ জায়ান্টস ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
জবাবে দুবাই ক্যাপিটালস ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়।
নিজের দ্বিতীয় ওভারটি ছিল বেশ খরুচে। ওই ওভারে একটি চার ও একটি ছক্কাসহ ১৩ রান দেন মোস্তাফিজ। তবে এরপরই ছন্দে ফেরেন তিনি।
চতুর্দশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথমে চার হজম করলেও পরের চার বলের মধ্যেই তিনটি উইকেট তুলে নেন।
ওই ওভারে জেমস ভিন্স কিপারের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর স্লোয়ারে বোল্ড হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং শন ডিকসন। মাত্র ৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজ।
এর আগে এক ম্যাচ আগেই এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে এক ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
রোববারের ম্যাচেও শেষদিকে রান আউটের হ্যাটট্রিক হয় তার ওভারে। শেষ ওভারে প্রথম দুটি বলের পর টানা তিন বলে রান আউট হন তিন ব্যাটসম্যান। ওই ওভারে আসে মাত্র ৪ রান।
এই দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে টুর্নামেন্টে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান মোস্তাফিজুর রহমান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এটি মোস্তাফিজের অভিষেক আসর। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ১৪। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৮.২৯। উইকেট তালিকায় তার ওপরে আছেন কেবল সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল, যার উইকেট ১৫টি।